বিশেষ প্রতিনিধিঃ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখানো ও কয়েকটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পাওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের আশঙ্কার অভিযোগে নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার সময় নিজ বাসভবনে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন আকুঞ্জি, বাকলজোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ তালুকদার, দুর্গাপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, কলমাকান্দা উপজেলার যুবলীগ নেতা বিল্লাল মিয়া, হাবিবুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকেই নৌকার প্রার্থী মোশতাক আহমেদ ও তাঁর আত্মীয় কলমাকান্দার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, ছোট ভাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল ওয়াদুদসহ কর্মী-সমর্থকেরা ট্রাক মার্কার প্রচারে বাধা, নির্বাচনী ক্যাম্প বসতে বাধা, হুমকি, উসকানিমূলক বক্তব্য, অন্তত আটটি স্থানে কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন। এতে অন্তত ১৫ কর্মী আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব ঘটনায় তিনি থানায় তিনটি মামলা করেছেন। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রমাণসহ অভিযোগ দেওয়া হলে কলমাকান্দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হলেও দুর্গাপুরে এখনো বাদ দেওয়া হয়নি।
জান্নাতুল ফেরদৌস জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি এই আসনের তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদারের একমাত্র মেয়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি দুর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আমাদের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মিথ্যা ঘটনা লিপিবদ্ধ করে থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা এসব বিষয়ের সঙ্গে জড়িত নই বলে জানান নৌকার প্রার্থী মোশতাক আহমেদ এর ভাই আবদুল ওয়াদুদ।
নেত্রকোনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, কেন্দ্রে দায়িত্ব দেওয়া প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং বা এ রকম যাঁদের নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত প্রমাণ সাপেক্ষে তাঁদের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।