এস এম মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ যশোরের বেনাপোলে অপহৃত সুমন হত্যার ঘটনায় ঢাকা থেকে ১টি হায়েচ মাইক্রোসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করলো ডিবি।
আটককৃত আসামী- ডালিম কুমার দাস(৩৩), পিং সুনিল চন্দ্র দাস, সাং-আলিকামুড়া, থানা- চান্দিনা, জেলা- কুমিল্লা, এ/পি-হক ভিলা, ৪তলা, ৬নং কৈলাশ ঘোষ লেন, শাখারীবাজার, থানা-কোতয়ালী, ডিএমপি, ২) অঞ্জন নিয়োগি(৪৯), পিং-ঠাকুরদাস নিয়োগি, সাং-রসুলপুর, থানা-দেবিদার, জেলা-কুমিল্লা, এপি-মিন্টু ধর এর বিল্ডিং, ৬তলা, ৪৩নং শাখারীবাজার, থানা-কোতয়ালী, ডিএমপি, ঢাকা, ৩) মোঃ রিয়াজ(৩৮), পিং-দৌলত মুন্সি, সাং-বাঁশবাড়িয়া, থানা-দশমিনা, জেলা-পটুয়াখালী, এপি-আবুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া, ৭তলার ৬বি, ফকিরাপুল, থানা-মতিঝিল।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) জানায়, চলতি বছরের ১১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামাল গং কর্তৃক বেনাপোল থেকে ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬), পিতা- ওসমান গনি, সাং- টেংরালী, থানা-শার্শা, জেলা- যশোরকে অপহরণ পূর্বক হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দশে মাঠে নামে ডিবি।
ডিবি’র এসআই মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম, শামীম হোসেনদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ টিম ঘটনাস্থলের আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আসামীদের মোবাইল তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার সময় ঢাকার কোতয়ালী থানার শাখারী বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে সিসিটিভিতে প্রাপ্ত ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্বর্ণ চোরাকারবারীদের ২৫টি সোনার বার অনুমান ৩ কেজি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ায় স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামালগং ভিকটিম সুমনকে সন্দেহজনক আটক করে মারধর করে স্বর্ণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মাগুরা সদর থানাধীন রামনগর এলাকায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। এর আগে গতকাল ১৬ নভেম্বর বেলা ১২টার সময় মাগুরা রামনগর থেকে ভিকটিম সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।