বিশেষ প্রতিনিধিঃ শারদীয় দূর্গাপূজা-২০২৩ উপলক্ষে পূজা মন্ডপে নজরদারি ও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত র্যাব-১৫।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর)৬ষ্ঠী পূর্জার মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দূর্গাপূজা শেষ হবে। এ বছর কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সর্বমোট ১৮১ টি পূজামন্ডপে (কক্সবাজারে-১৫১, বান্দরবানে-৩০) শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপসহ সকল শারদীয় দূর্গাপূজায় পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব-১৫।
অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও মোবাইল এবং স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করবে। পূজাকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহসহ বৃদ্ধি করা হয়েছে র্যাবের তৎপরতা ও নজরদারি। যে কোন ধরণের নাশকতা এড়ানোর লক্ষ্যে র্যাব-১৫ সার্বিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
পূজামন্ডপকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তায় প্রতিনিয়ত র্যাবের ১০টি পিকআপ (৮০ জন) ও ০৮টি মোটরসাইকেল পেট্রোলিং (১৬ জন) এবং সাদা পোষাকে (৪০ জন) গোয়েন্দা নজরদারি চলমান রাখাসহ সর্বমোট ১৩৬ জন নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও বাড়তি নজরদারিসহ প্রস্তুত থাকবে র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স। এরই পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পূজাকেন্দ্রিক যেকোনো গুজব এড়াতে ও পূজামন্ডপে নারী দর্শনার্থীদের ইভটিজিং রোধে জোরদার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পূজাস্থলে নিয়োজিত অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে র্যাবের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। যদি এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, তা নিরসনে র্যাব সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কোনো ধরনের নাশকতার সম্ভাবনা নাই, অধিকন্তু বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন/চরমপন্থী/স্বার্থান্বেষী মহল যেকোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টাসহ যেকোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে র্যাব তৎপর।
র্যাব-১৫ ব্যাটালিয়ন সদরে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিকভাবে সার্বিক নজরদারি অব্যাহত থাকবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকলে র্যাবকে তথ্য দিন, র্যাব তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।