এস এম মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ যশোর জেলার কোতয়ালীর মুজিব সড়কে সংঘটিত হত্যা মামলার মূলরহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আটককৃত আসামী-তানমীন হোসেন ইমন (২০) সে যশোর কোতয়ারী সদর থানাধীন চাচঁড়া ডালমিল এলাকার আব্দুর জব্বারের ছেলে। বর্তমান সে খড়কী এলাকায় বসবাস করে বলে জানা গেছে।
অত্র মামলার বাদিনীর রুপবান (৫৩), পিতামৃত- আফসার, স্বামী মৃত- হাবিবুর গাজী, সাং- খড়কী (বামনপাড়া), থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোর এর ছেলে ডিসিস্ট রিপন (২৪) লেদ মিস্ত্রীর কাজ করত। গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান ৭টা ৪০ মিনিটের সময় বাদিনীর ছেলে ও তার বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান, বিপুল হোসেনদের নিয়ে কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মামলার এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা চাকু দ্বারা কুপাইয়া রক্তাক্ত জখম করে। তিনজনকেই চিকিৎসার জন্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল যশোরে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ডিসিস্ট রিপন'কে মৃত ঘোষণা করেন। বাদিনীর এজাহারের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৬৯, তাং- ১৭/১০/২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক জনাব রেজাউল করিম তদন্ত করছেন।
ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশে ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে ডিবি'র এলআইসি টিম তদন্তে মাঠে নামে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে ডিবির এসআই শাহীনুর রহমান, তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করিয়া ১৮ অক্টোবর দুপু ১টা ৩০ মিনিটের সময় কোতয়ালী মডেল থানা এলাকা হতে ঘটনায় জড়িত আসামী ইমনকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকুসহ গ্রেফতার করেন।
প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে যে, আসামীরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অত্র হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে।