এম রাসেল সরকার: রাজধানীর নয়াপল্টন, পুরনো পল্টন, মতিঝিল, ফকিরাপুল, বাসাবো, নন্দীপাড়া, খিলগাঁও, মুগদা এলাকায় একটি চক্র প্রেস আইডি কার্ড ব্যবহার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে বিদেশে মানব-পাচার, হজ্জ উমরাহ্ করানোর নামে কিছু ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, এই চক্রটি তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে, তাদের পাসপোর্ট ও নগদ টাকা আটক আছে, ভুক্তভোগীরা তাদের কাছে থেকে টাকা ও পাসপোর্ট চাইলে তারা উল্টো হুমকি ও নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদেরকে হস্তান্ত করে যাচ্ছে।
আব্দুল তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে ইটালি পাঠানোর জন্য গত ৯ আগস্ট ২০২৩ ইং ১০ লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট দিয়েছিলাম এক দালাল কে সে আমার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠাচ্ছে না এবং টাকা পাসপোর্ট ও দিচ্ছে না। এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলেও নিতে পারছি না। ওই দালালের কাছে টাকা পাসপোর্ট চাইলে সে উল্টো আমাকে হুমকি দিচ্ছে আর বলছে পারলে আপনি যা করার করতে পারেন।
মোছাম্মৎ আফিয়া খাতুন বলেন, আমি হজ্ব ওমরা করার জন্য মুগদায় এক দালালকে টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু আমার টাকা ও পাসপোর্ট কিছুই দিচ্ছো না। তার কাছে টাকা ও পাসপোর্ট চাইলে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাকে হুমকি হস্তনাস্ত ও হয়রানি করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলে ফিরে আসতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী রাসেল ও রুহুল আমিন বলেন, আমরা বিদেশের যাওয়ার জন্য পুরানা পল্টন এক দালালকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট দিয়েছিলাম কিন্তু আমাদেরকে বিদেশে নেওয়া তোর দূরের কথা এখন আমাদের টাকা ও পাসপোর্ট দিচ্ছে না এই দালালের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় একটি অভিযোগও করেছি কিন্তু কোন ফায়দা পাচ্ছি না। দীর্ঘ এক বছর ধরে ঘুরতেছি এখন আমরা কি করব বুঝতে পারছি না। ওই দালালের কাছে টাকাও পাসপোর্ট চাইলে সে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতাদের নাম ব্যবহার করে আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে আরো কয়েকজন ব্যক্তি ইতালি মালয়েশিয়া সৌদি আরব ওমান যাওয়ার জন্য এক দালালকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে কিন্তু তাদেরকে টাকাও দিচ্ছে না বিদেশেও নিচ্ছে না। ভুক্তভোগী রাসেল, এমরান, সুমন, কাউসার, শামীম বলেন আমরা পরিবারের সুখের জন্য ঋণ করে মায়াপোটন এক দালালকে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম কিন্তুক আমরা টাকা পাচ্ছি না, আমাদেরকে বিদেশেও নিচ্ছে না, এখন আমরা ঋণে জর্জরিত হয়ে পথে পথে ভবপুরের মত বেড়াচ্ছি এখন আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় নেই। বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে।