প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪, ৫:০৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ৯:০১ পূর্বাহ্ণ
অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণে নিহত বোয়ালমারীতে ৮ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদান
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে গত ২৪ জুন দ্রুত গতির অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে ৮জন নিহতের ঘটনায় নিহতের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।
ঘটনার তিন মাস পরে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে মাইটকুমরা ও ফেলাননগর গ্রামের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক সেলিম রেজা লিপন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান বেলায়েত হোসেন, বোয়ালমারী পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলী আকবর আলী, জেলা যুবলীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, দাউদুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদার, ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা আলী তমাল, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফেলাননগর উত্তরপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আজিজার শেখের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৫০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা শেষে মেয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে (২৪ জুন) ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফেলাননগরের উদ্দেশ্যে তার দুই মেয়ে, চার নাতি-নাতনিসহ ৭ জন গত অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ওইদিন বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গা-ঢাকা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গার মালিগ্রাম ফ্লাইওভারের অ্যাপ্রোচ সড়কে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গাড়ির ব্যাটারির কানেকশন থেকে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ ফেটে আগুন ছড়িয়ে পড়লে গাড়িতে থাকা একই পরিবারের ৭ সদস্য পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় এবং নিহতদের আবেদন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দিলে ঘটনার তিনমাস পর বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাইটকুমড়া গ্রামের নিহত একই পরিবারের ৪জনের ৪ লাখ, আলফাডাঙ্গার কুচিয়াগ্রামের দুইজনের ২ লাখ টাকার অনুদানের চেক আলমগীর খানের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে বেলা ২টায় ফেলাননগর গ্রামের নিহত তাসলিমার বেঁচে থাকা একমাত্র ছেলে আনিচের হাতে এক লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন আব্দুর রহমান।
এ ব্যাপারে নিহতদের পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর চেক তুলে দেওয়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। বঙ্গবন্ধু যেভাবে দেশের মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করে গেছেন। তেমনি তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল পর্যায়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আমার নির্বাচনী এলাকার একই পরিবারের ৭জনসহ ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স বিস্ফোরণে ৮জন নিহতের ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হলে প্রত্যেককে নেত্রী এক লাখ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছেন।
Copyright © 2024 samajerchoke.com. All rights reserved.